নিঠাই লাগে রে পাখি- নোনা ধরে গেছে কলে কব্জায়- মনে
বিকেল ফুরালো সব এই বালুচরে করে লবণের চাষ
জলকেলি করে গেলো চোখের সামনে দিয়ে কতনা মানুষে
আমি আর তুই শুধু গর্ত খুঁড়েই চলি দিনমান জুড়ে।
সমুদ্র ধরি-আর সমুদ্র শুধু উবে যায়-
বালুচরে পড়ে থাকে নোনাঘাম আর নোনাবালি
সেই থেকে আমি তুই সযতনে তুলে আনি নুন
নুনের বস্তা টেনে টেনে কাঁধে পড়ে যায় কড়া।
রাতে ঘুম আসেনারে-নোনাদেহে কিচকিচ করে
সকালের ভয়ে রাত ক্ষণে ক্ষণে ছোট হয়ে আসে
আধেক ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে আঘাত হানে ঢেউ
উত্তাল নোনাজল নোনাক্ত এই দেহে ভাঙ্গে।
হাজার সূর্যে ঝড়ে টিকে থাকা দেহ ছাড়ে হাল
দুর্দাম সাগরের ঢেউমাঝে সহসা মিলাই-
সাগরের নীলে মিলে শরীরের নোনা গলে পড়ে
নুনের খামারি দুই হাড়াভাতে আনন্দে ভাসে।
চলনা রে পাখি চল সমুদ্রে ডুব দিয়ে আসি
শরীর চোখের যত নোনা-সব সাগরে বিলাই
চলনারে পাখি এই নুনের খামার ছেড়ে দূরে
জমাট বাঁধা যতক নোনা জলে ফেলে দিয়ে আসি
হয়তো এসব নোনা ভিড়বে আবার এসে আমাদেরই তীরে
চলনারে পাখি তবু সাগরে ভাসান দিতে যাই…