ভালোবাসার নাম ভাঙ্গিয়ে
কতই শোকের কবর হলো নধর বুকে
খুব গোপনে-
কবর হলো-বেওয়ারিশ এক এতিম শোকের
শবদেহটা-পচন ধরে মিলিয়ে গেলো-বুকের মাঝে
হারিয়ে গেলো স্মৃতির থেকে-মগজ থেকে-
খুব গোপনে-
সেই বেওয়ারিশ কবর থেকে-একটা রাতের অবহেলায়-
উঠলো বেড়ে শোকের চারা-হঠাৎ করে-
আরেক রাতের অবহেলায়-আবার মেঘের ঘনঘটা-
কালো মেঘের বুকের মাঝে-বৃষ্টি আসে-
সেই বৃষ্টির নোনতা পানি
খুব গোপনে-
নরম ওষ্ঠ-অধর বেয়ে-থুতনি বেয়ে
বুকের মাঝে লুকিয়ে পড়ে-শুকিয়ে পড়ে
আর তাতে সেই শোকের চারা-
দৈর্ঘ্যে বাড়ে-প্রস্থে বাড়ে- স্বাস্থ্যে বাড়ে-
ডালপালায় আর পাতায় বাড়ে-
খুব গোপনে-
এমন করে হরেক রাতে- নিছক হরেক অবহেলায়
মেঘ জমে যায় মেঘের পরে- আকাশ আঁধার করে আসে-
কৃষ্ণ মেঘে-কৃষ্ণ মেঘে-ঘর্ষণ হয়-গর্জন হয়-বজ্রপাতের-
হঠাৎ করে-
ততকদিনে শোকের চারাঃ মহীরূহ
ডালপালা তার আকাশ ছোঁয়া
মেঘের মাঝে-মেঘের ভাঁজে-তার বসতি
যেইনা হলো তার পরিচয়-বাজের সাথে
হঠাৎ করে-
ছড়িয়ে গেলো তুমুল তড়িৎ
পাতায় পাতায়-ডালপালায় আর-কান্ডে মূলে
মূল বেয়ে তাই ছড়িয়ে গেলো-তুমুল তড়িৎ বুকের মাঝে-
খুব গভীরে-
যেখানটাতে ভালোবাসা বসত করে-
সেখানটাতে লাগলো আগুন-পুড়লো সাধের ভালোবাসা-
খুব গোপনে-
হায়রে-যদি গোপন শোকের কদর হতো-
কবর হবার আগেই যদি আদর হতো-
তাহলে আর এই আগুনে পুড়তোনাতো-
শোকসমাধীর ওপর হতো ফুলের চারা
সূর্যদীঘল ভালোবাসার উঠোনজুড়ে
সুবাস হতো গভীর রাতে-হাসনাহেনার-
এই বেদনা ফুটতো ফুলের পাপড়ি হয়ে-
হায়রে-যদি দুঃখবিলাস সহজ হতো!
(এতিম শোকের কবিতা)
-বৃত্তবাড়ি,শুভ্রচিঠি
ভার্জিনিয়া,
১১ অক্টোবর, ২০১৬
ভালো লাগলো।